আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ !! এবারের পাগলা মসজিদের অর্থ গণনায় সর্বোচ্চ প্রাপ্তি !!

ভোরের আলো বিডি ডেস্কঃ
এবারের গণনায় পাগলা মসজিদে দানের অর্থের হিসেব অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দিন দিন অর্থ বৃদ্ধি প্রমাণ করে পাগলা মসজিদের প্রচারণা আগের চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। এখানে আসা লোকজনের মনের আকাঙ্খা পূরণ হয়। এই বাসনা নিয়ে এখান থেকে ফিরে যায়। যা অব্যর্থ বলে বিবেচনা করে বিশ্বাসীরা। এমন বিশ্বাস থেকেই দান-অনুদানের এত সমৃদ্ধি।
তিন মাস অন্তর অন্তর হারুয়া পাগলা মসজিদের দানের বাক্স খোলা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী আজ ৭ জানুয়ারি(২০২৩)শনিবার সকাল পৌনে ৯ঘটিকায় দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক কিশোরগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এ দান বাক্স খুলেন।

মোট ৮টি দান বাক্স থেকে ২০ বস্তা টাকা পাগলা মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে গণনার কাজ শুরু করা হয়। সকাল ৯ ঘটিকা হতে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত একটানা ১০ ঘন্টা চলে টাকা ভাঁজ করা ও গণনার কাজ।

এ গণনার কাজে ১১২জন মাদরাসা ছাত্র,ব্যাংক স্টাফ ৫০ জন,মসজিদ কমিটির ৩৪ জন মিলে ১৯৬ জন ব্যক্তি বিরামহীন ভাবে নিয়োজিত ছিল।
তাছাড়া পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভুইয়া সার্বক্ষণিক সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট ছিলেন।

গণনা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭ ঘটিকায় দান বাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক এটিএম ফরহাদ চৌধুরী দানের মোট হিসেব প্রকাশ করেন। এবারের ৩মাস ৬দিনের মাথায় দানের অর্থ মিলে ৪ কোটি ১৮লাখ ১৬হাজার ৭৪৪ টাকা।

বিগত ৩মাস আগের গণনায় পাগলা মসজিদের দান বাক্সে ১৫ বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫টাকা। গত গণনার টাকার চেয়ে এবার হিসেব মতে ২৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৪৯ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। তাছাড়া পাগলা মসজিদে এসব অর্থ ছাড়াও বিদেশি মুদ্রা,রূপা ও স্বর্ণের অলঙ্কারও পাওয়া গেছে।

এসব ছাড়াও গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি প্রতিনিয়ত দান হিসেবে এ মসজিদে আসছে, যার হিসেব কর্তৃপক্ষের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।

গণনার সময় নিরাপত্তা কাজে আনসার টিম সর্বদা সতর্ক প্রহরায় ছিলো। মিডিয়া কর্মী ও ইউটিউবারদের উপস্থিতি ছিলো সরব।
গণনার সময় রূপালীব্যাংকের সহকারি মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি কমিশনার অহনা জিন্নাত, সুলতানা রাজিয়া,শেখ জাবের আহমেদ, সহকারি কমিশনার মোছাঃ নাবিলা ফেরদৌস, মোঃ মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর ও পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কোনো সময়ই মসজিদ কর্তৃপক্ষ গণনা শেষে প্রেসব্রিফিং দেয়ার পদ্ধতি চালু করেনি। যার কারণে রেজাল্ট দেয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সংবাদ কর্মীদের জন্য কোনো সিস্টেম চালু করা হয়নি। ফলে যে যেভাবে পারে সারাদিন উন্মুক্তভাবে মসজিদের ভেতরেই ঘুরাফেরা করে ও তথ্য সংগ্রহ করে। যে তথ্য প্রশাসনিক ব্রিফিংয়ে কয়েক মিনিটে জানা যায় সেটা জানতে প্রয়োজন হয় সারাদিনের। যা প্রয়োজন ছিল সন্ধুক খোলার সময়, মাঝামাঝি সময়ে কোনো ভিডিও ফুটেজ বা স্থির ছবি। শেষ সময়ে সাক্ষাতকার ও ব্রিফিং অনুযায়ী ফাইন্যাল তথ্য পাওয়া। পাগলা মসজিদের সভাপতি হিসেবে প্রেসব্রিফিংসহ অন্যান্য তথ্য সরবরাহ নীতি চালু করার দরকার ছিল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনারের। কিন্তু এটা না করায় কিছুটা অনিয়ম লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত বলে সুধীজনরা মনে করেন।

✍️তথ্য পরিবেশনে-সাংবাদিক রেজাউল হাবিব রেজা।
🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍🕍

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category